বিটকয়েনের মূল্য এ বছর অসম্ভব দ্রুত বেড়েছে। সম্পদের প্রচলিত মানগুলোর সবকটিকে ছাড়িয়ে গিয়েছে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি। রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, এর অন্যতম কারণ ছিল অর্থ প্রদানের মাধ্যম হিসেবে এর গ্রহণযোগ্যতা।
সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে এর পেছনে শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে।
গত মাসেই বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা দেড়শ' কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে বিটকয়েনে। একই কাজ করেছে সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান মাইক্রোস্ট্র্যাটিজি ইনকর্পোরেটেড এবং টুইটার প্রধান জ্যাক ডরসির আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠান স্কয়ার। কার্যত, এই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রচলিত আর্থিক সম্পদকে এই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তর করছে যা বিটকয়েনের ওপর মানুষের আস্থা বাড়িয়ে দিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ কয়েনবেইস এরই মধ্যে নিউ ইয়র্কের স্টক এক্সচেঞ্জ ন্যাসডাকে নাম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। কয়েনবেইস যদি এই তালিকায় নাম ওঠাতে সক্ষম হয় তবে সেটি হবে লেনদেনের মূল ধারায় ক্রিপ্টোকারেন্সির আসার পথে বিশাল এক মাইলফলক।
বিটকয়েন কেনা এবং এতে বিনিয়োগের জন্য গ্রাহকের ক্রমবর্ধমান চাহিদার বাস্তবতায়, গোল্ডম্যান স্যাকস গ্রুপ এই সপ্তাহেই জানান দিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি আইনী কাঠামোর মধ্যে থেকেই এই গ্রাহকদের চাহিদা কীভাবে মেটানো যায় সেই পথগুলো খতিয়ে দেখছে। নিউ ইয়র্কভিত্তিক এই আন্তর্জাতিক ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকটি কয়েকদিন আগেই তাদের একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং ডেস্ক পুনরায় চালু করেছে।
You have to login to comment this post. If You are registered then Login or Sign Up